অদ্য ১১ মে, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ সাবেক সফল সংস্কৃতি ও সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট প্রমোদ মানকিন এমপি’র ৭ম মৃত্যু বার্ষিকী। মহাপ্রয়াণ দিবসে উনার প্রতি জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা 🙏🙏।
তিনি বাংলদেশ জাতীয় সংসদের ময়মনসিংহ-১ আসন (হালুয়াঘাট, ধোবাউরা থেকে নৌকা প্রতীক নিয়ে) থেকে চার চারবার সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন।
কর্মজীবনঃ
ছাত্রজীবন থেকেই রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত ছিলেন মিঃ প্রমোদ মানকিন।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় সংগঠকের ভূমিকা পালন করেন প্রমোদ মানকিন। মেঘালয় শিববাড়ি শরণার্থী শিবিরে ৫০ হাজার বাংলাদেশির দেখাশোনার দায়িত্বে ছিলেন তিনি।
শিক্ষকতা থেকে আইনজীবী এবং তারপর এনজিওতে কাজ করেন প্রমোদ মানকিন। ১৯৯১ সালে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে আমৃত্যু সক্রিয় রাজনীতিতে ছিলেন। তিনি হালুয়াঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ছিলেন।
এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ও হালুয়াঘাটের গোবরাকুড়া আমদানি-রফতানিকারক সমিতির সভাপতি ছিলেন। ১৯৯১, ২০০১, ২০০৮ সালে হালুয়াঘাট থেকে এবং ২০১৪ সালে হালুয়াঘাট-ধোবাউড়া থেকে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের প্রথমে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী ও পরবর্তীতে সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন।
তিনি বাংলাদেশ সমবায় ব্যাংকের সাবেক পরিচালক ছিলেন, পরে তিনি বাংলাদেশ সমবায় ক্রেডিট ইউনিয়ন লীগের ভাইস প্রেসিডেন্ট হন। তিনি ভাষা শহীদ আব্দুল জব্বার স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয় এবং হালুয়াঘাট কারিগরি ও বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ছিলেন। তিনি বাংলাদেশে মানবাধিকার সমন্বয় কাউন্সিল (সিসিএইচআরবি) এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া মানবাধিকার কমিশনের সদস্য ছিলেন তিনি।
এছাড়া বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সোসাইটির ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রমোদ মানকিন সর্বদলীয় পার্লামেন্টারি গ্রুপ ও ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটিরও সদস্য ছিলেন।
মৃত্যুঃ
তিনি দীর্ঘদিন ধরে ফুসফুসের ক্যান্সারজনিত রোগে ভুগছিলেন এবং ২০১৬ সালের ১১ মে ভারতের মুম্বাইয়ের হলি ফ্যামিলি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান এবং তাকে পারিবারিক কবরস্থানে সমাধিস্থ করা হয়।
তথ্যসূত্রঃ উইকিপিডিয়া।