শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় ভারত সীমান্ত ঘেঁষা বারমারী সাধু লিওর ধর্মপল্লীতে প্রতিবছরের ন্যায় আগামী ২৬ অক্টোবর বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে দু'দিনব্যাপী হাজারো পূণ্যার্থীর মনোবাঞ্ছা পূর্ণকারী ২৬তম ফাতেমা রাণীর তীর্থোৎসব।
সিনডিয় মণ্ডলীতে মিলন, অংশগ্রহণ ও প্রেরণ কর্মে ফাতেমা রাণী মা মারিয়া" এ মূলসুরকে সামনে রেখে ক্যাথলিক খ্রিষ্টানদের সবচেয়ে বড় এই ধর্মীয় উৎসব আগামী ২৬ ও ২৭ অক্টোবর দু'দিনব্যাপী এবারের অনুষ্ঠিত হবে।
ইতোমধ্যে সকল প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। প্রায় পঞ্চাশ হাজার পূণ্যার্থী
এতে অংশ নিবেন বলে আশা আয়োজকদের। ইতিমধ্যেই এই উৎসবকে ঘিরে নেওয়া হয়েছে চার স্তর বিশিষ্ট
নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ তীর্থোৎসব ঘিরে বইছে উৎসবের আমেজ। পাহাড়ের বুকে পর্তুগালের ফাতেমা নগরীর আদলে তৈরি এই ধর্মপল্লীতে অনুষ্ঠিত হয় দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় তীর্থযাত্রা। প্রতি বছর এতে অংশ নেয় দেশ বিদেশের পূণ্যার্থীরা।
তীর্থ উৎসবের মূল আকর্ষণ হচ্ছে আলোর শোভাযাত্রা। এছাড়াও খ্রিষ্টযাগ,
পাপ স্বীকার, আরাধনা, ব্যক্তিগত প্রার্থনা, নিশি জাগরণ, জীবন্ত ক্রুশের পথ এবং মহাখ্রিষ্টযাগ।
এবার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন, ভারতের মেঘালয় ও তোরা ধর্ম প্রদেশের পাল পুরোহিত ফাদার টমাস মানখিন।
১৯৪২ সালে প্রায় ৪২ একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত বারমারী সাধু লিওর এ ধর্মপল্লীটি ১৯৯৮ সাল থেকে বার্ষিক তীর্থ স্থান হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে। প্রতি বছর অক্টোবরের শেষ বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার অনুষ্ঠিত হয় ফাতেমা রাণীর তীর্থোৎসব। শুধু শেরপুর নয়, সারা বাংলাদেশে থেকে এবং দেশ-বিদেশের প্রায় অর্ধ লক্ষ পূণ্যার্থী অংশ নেয় এই তীর্থ যাত্রায়।
নালিতাবাড়ীর বারোমারী সাধু লিওর ধর্মপল্লীর ফাদার তরুণ বানোয়ারী
জানান, তীর্থযাত্রীদের জন্য সকল ব্যবস্থা সম্পন্ন করেছে আয়োজক কর্তৃপক্ষ। অন্যান্যবারের
চেয়ে এবার ভক্তসমাগম বাড়বে বলে আশা করছেন তিনি।
শেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফকরুজ্জামান জুয়েল বলেন, এ কর্মসূচীকে বাস্তবায়নে জন্য চার স্তর বিশিষ্ট নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। আশা করছি এখানে শান্তিপূর্ণ পরিবেশেই এই তীর্থ উৎসব সু-সম্পন্ন হবে।
তীর্থোৎসব এ আগমনকারী সকলের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা
এবং সকলের মনোবাঞ্ছা পূর্ণ হউক🙏।