আন্তর্জাতিক চুম্বন দিবস বা বিশ্ব চুম্বন দিবস, হলো একটি আনুষ্ঠানিক
ছুটির দিন, যা প্রতিবছর ৬ জুলাই পালিত হয়। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় থেকে এই দিনটি পালন
শুরু হয় বলে মনে করেন অনেক। দিনটির অনুশীলনটির সূচনা যুক্তরাজ্যে হয়েছিল এবং ২০০০ এর
দশকের গোড়ার দিকে এটি বিশ্বব্যাপী গৃহীত হয়েছিল।
আরেকটি দিন- ১৩ ফেব্রুয়ারি, ভালোবাসা দিবসের সপ্তাহে পড়া আন্তর্জাতিক চুম্বন দিবস হিসাবেও চিহ্নিত করা হয়েছিল। অর্থাৎ বিশ্ব ভালোবাসা দিবসের ঠিক পূর্বের দিনটি উদযাপন করা হয়।
আন্তর্জাতিক চুম্বন দিবস পিছনের ধারণা এই যে, অনেক মানুষ চুম্বনের
সাথে যুক্ত আনন্দ ভুলে গেছে বা ভুলে যেতে পারে, কেননা চুম্বনকে অনেকে কেবল সামাজিক
আনুষ্ঠানিকতা বা অন্য ক্রিয়াকলাপের প্রস্তাবনা হিসাবে বিবেচনা করে।
প্রধানত পৃথিবীর সকল শ্রেণীর মানুষ ওই দিনটিতে তাদের প্রিয় মানুষগুলিকে
মন থেকে ভালোবেসে একজন আরেকজনকে আলিঙ্গন করে চুম্বন দিবস পালন করে থাকে। দিবসটি পালনের
ক্ষেত্রে প্রধান তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে একজন মানুষের সম্পূর্ণ জীবন যাপনের
প্রতিটি স্তরে, অর্থাৎ একজন বাবা আদর করে তার সন্তানকে স্নেহ করে ওই দিবসটি পালন করে
থাকে।
আন্তর্জাতিক চুম্বন দিবসে জেনে নিন চুমুর প্রকারভেদ!!
শুধুই কি পরস্পরের ঠোঁটে ঠোঁট রাখাটাই চুমু? নাকি আরও অনেক রকমের চুমু হতে পারে? কত রকমের চুম্বন হয় জানেন? অন্তত ২০টি তো জানাই উচিত জেনে নিন।
১। French Kiss: নামটির সঙ্গে অনেকেই পরিচিত। ঠোঁটে ঠোঁট রেখে
অন্তরঙ্গ এবং আবেগঘন চুমু। এই সময়ে পরস্পরের জিভও ছুঁয়ে থাকে।
২। Single Lip Kiss: নাম থেকেই বোঝা যায়, সঙ্গীর শুধুমাত্র একটি
ঠোঁটে চুমু।
৩। American Kiss: এটিও French Kiss-এর মতোই। কিন্তু এখানে শুধুমাত্র
পরস্পরের ঠোঁট ছুঁয়ে থাকবে। জিভের স্পর্শ হবে না।
৪। Lizzy Kiss: এটি খুবই ঘনিষ্ঠ চুম্বন। এক্ষেত্রে ঠোঁটের স্পর্শই
হবে না। শুধু পরস্পরের জিভের স্পর্শ হবে।
৫। Ice Kiss: দু’জনের ঠোঁটের মাঝে বরফ রেখে চুমু। এটি সারা শরীরে
অন্য রকম অনুভূতি দেয় বলেও দাবি করা হয়।
৬। Nibble Kiss: সঙ্গীর নীচের ঠোঁটে চুমু খাওয়া এবং সেখানে অল্প
কামড় বসানো হল এই চুমুর বৈশিষ্ট্য।
৭। Lip Trace Kiss: জিভ দিয়ে সঙ্গীর টোঁটে চুমু।
৮। Lip Gloss Kiss: চুমুক সময়ে সঙ্গীর ঠোঁট এমনভাবে ভিজিয়ে দেওয়া,
যাতে মনে হয় তিনি লিপ গ্লস ব্যবহার করেছেন।
৯। Butterfly Kiss: চুমু খাওয়ার সময়ে পরস্পরের চোখের পাতা ছুঁয়ে
থাকাকে বাটারফ্লাই কিস বলে।
১০। Spiderman Kiss: স্পাইডারম্যান সিনেমাটি থেকেই নামটির উৎস।
পরস্পরের মাথা উলটো দিকে রেখে এই চুমু খাওয়া হয়।
১১। Earlobe Kiss: সঙ্গীর কানে চুমু খাওয়া হল এর বৈশিষ্ট্য।
১২। Air Kiss: এটি ঠিক প্রেমের চুম্বন নয়, বরং এটি সৌজন্যমূলক
চুম্বন। পরস্পরের গালে গাল ঠেকিয়ে বাতাসে চুমু ছুড়ে দেওয়ার রেওয়াজ।
১৩। Sugar Kiss: পরস্পরের ঠোঁটে চিনি মাখিয়ে চুমু খাওয়ার রীতি
এই পদ্ধতিতে।
১৪। Drink Kiss: মুখে যে কোনও একটি পানীয় রাখা। এবং তার পরে সেই
পানীয় চুমু খাওয়ার সময়ে সঙ্গী মুখে ঢেলে দেওয়া।
১৫। Underwater Kiss: জলের নীচে স্নানরত অবস্থায় চুম্বন।
১৬। Vacuum Kiss: একেবারে হাঁ করে চুমু খাওয়া। এই সময়ে সঙ্গী মুখের
ভিতর থেকে বাতাস টেনে নেওয়ার চেষ্টা।
১৭। Eskimo Kiss: এসকিমোদের সংস্কৃতির অঙ্গ এটি। প্রকৃত চুমু নয়।
পরস্পরের নাকে নাক ঠেকিয়ে ভালোবাসা জানানো হল এর বৈশিষ্ট্য।
১৮। Candy Kiss: চুমুর সময়ে পরস্পরের পছন্দের ক্যান্ডি খাওয়া এবং
তার পরে চুমু খাওয়া এর বৈশিষ্ট্য।
১৯। Jawline Kiss: পরস্পরের চোয়ালে চুমু খাওয়া হল এর বৈশিষ্ট্য।
২০। Wet Kiss: সব চুমুর সম্মিলিত ফলও বলা যেতে পারে একে। খুব আবেগঘন
হয়ে ভেজা চুমু একেই বলে।