গারোদের অনেক পুরোনো দিনের গান, এবং অনেক বিখ্যাত গারো লোকগীতি কিন্তু কে লিখেছে বা কে সুর দিয়েছে তা অজ্ঞাত। তবে গ্রামের বয়স্ক লোকেরা সবাই এই গান জানে। অনেক লম্বা একটি গান, এখানে ছেলেরা গানের সুরে সুরে প্রশ্ন করে, আর মেয়েরাও সুরে সুরে উত্তর দেয়, অথবা কোথাও কাজ করতে বা মাছ ধরতে গানে সুরে প্রস্তাব দেয়। ভিবিন্ন গ্রামে ভিবিন্ন রকম গানের কথাগুলো শুনতে পাওয়া যায়, কিন্তু গানের সুর একই রকম ব্যতিক্রম নেই। এই গানকে গারোরা ম-মসা গান বলে হয়তো অন্য নামেও থাকতে পারে, আমাদের গারোদের অনেকগুলো গোত্রের মধ্যে আবেং, আচিক, চিবকদের কাছে শুনেছি। অন্য গারো গোত্রের মাঝেও থাকতে পারে, গানের কথাগুলো ভাল, শুনতেও মজা পাওয়া যায়। গানের একটি কলি শেষ হলে বলে ম-মসা ম-শারী সুরে সুরে বলতে হয়, আবার কেহ বলে ম-মসা, ম-বনিং, ম-শারী ম- বুজি। ম-মসা ম-বনিং ছেলেরা বলবে আর ম-শারী, ম-বুজি এটা মেয়েরা বলবে বোন জামাইয়ের ছোট ভাইকে গারোরা মসা ডাকে। আর বোন জামাই তার স্ত্রীর বড় ভাইকে বনিং ডাকে, স্ত্রী তার স্বামীর বোনদের সাধারনত শারী ডাকে, শেলকরা বড় ভাইয়ের বৌকে বৌদিকে বুজি ডাকে। জানিনা কত শত বা হাজার বছর আগে এই গারো লোক গান সৃষ্টি হয়েছে, গ্রামে সাধারন অনুষ্ঠান-আদী হলে এই গান গুলোই গায় এবং পরিবেশন করা হয়। এই যুগের যুবক যুবতীরা বিশেষ করে শিক্ষিত গারো ছেলে-মেয়েরা গারো লোক গান আর চর্চা করতে চায়না। যার কারনে হাজার বছরে চলে আসা গারো লোক গান আস্তে আস্তে হারিয়ে যাচ্ছে, ধরে না রাখলে থাকবে না। এমনিতেই অনেক লোক গান যেমন, গন্ডা গান, ও-হইয়া গান, এরকম অনেক গান হাড়িয়ে গেছে খুজেও পাওয়া যাচ্ছে না। জানার জন্যে ম-মসা গানের কিছু অংশ নীছে লিখে দিলাম, ভিডিওর গানটি নয়, অন্য গান লিখলাম ।